Published: 01 সেপ্টে 2017

সোনা কি আর্থারাইটিসের উপসর্গে কোন সাহায্য করতে পারে?

প্রাচীনতম চিকিৎসাশাস্ত্রে সোনার ব্যবহারের খোঁজ খ্রী.পূ. 2500এতে চীনে পাওয়া যায়৷ চার হাজার বছর দ্রুত এগিয়ে আসা যাক, আজকের আধুনিক যুগের ডাক্তাররাও রোগীদের বাতরোগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত আর্থারাইটিসের ব্যাথা এবং ফোলা চিকিৎসার জন্য সোনা ব্যবহার করছে৷

সোনার নুন এক ওষুধের গোষ্ঠিতে পরে যেটি রোগ-রূপান্তরকারী বাতরোগের বৈশিষ্ট্য-বিরোধী ওষুধ (disease-modifying anti-rheumatic drugs, DMARDs) হিসাবে পরিচিত৷ সোনার থেরাপি মূলগত রোগ নিরস হওয়ার কারণে জয়েন্ট বা গাঁটে ব্যথা এবং ফোলার মত কেবলমাত্র বাতরোগের বৈশিষ্ট্যযুক্ত আর্থারাইটিসের উপসর্গের চিকিৎসা করেনা, সাথে অক্ষমতা এবং ভবিষ্যতের জয়েন্টের ক্ষতি রোধ করে৷

এক্ষেত্রে দু’ধরণের সোনার থেরাপি উপলব্ধ: সবথেকে জনপ্রিয় হল ইঞ্জেকশানভিত্তিক সোনা (injectable gold)বা গোল্ড সোডিয়াম থিওমালেট (GST)৷ দ্বিতীয়টি হল মুখ দিয়ে সোনার ফর্মুলেশান রিডাউরা (অউরানোফিন) দেওয়া, যেটি তুলনামূলক কম কার্যকর বলে বিবেচিত৷

সোনার থেরাপি সাধারণত সাপ্তাহিক ইঞ্জেকশান হিসাবে দেওয়া হয় এবং উপসর্গগুলি তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমতে থাকলে ধীরে ধীরে তা মাসে দেওয়া হয়৷ এই চিকিৎসাটি এক দীর্ঘ-মেয়াদী অঙ্গীকার; বেশিরভাগ ব্যক্তি যারা এই চিকিৎসায় সাড়া দেয় তারা প্রায় তিন থেকে ছ’মাস পরে উন্নতি দেখতে পায়৷

যদিও এটি স্পষ্ট নয় কিভাবে সোনা বাতরোগের বৈশিষ্ট্য যুক্ত আর্থারাইটিসের চিকিৎসা করে, তবে এটা বিশ্বাস করা হয় যে অস্বাভাবিক ইমিউন প্রতিক্রিয়ার প্রভাবিত করতে এটি দুরারোগ্য ব্যাধির ট্রিগারিংয়ে নিয়োজিত হয়৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত বাতরোগের বৈশিষ্ট্য যুক্ত আর্থারাইটিসের উৎস আবিষ্কৃত হচ্ছে, ততক্ষণ এই রোগ কমাতে সোনার আবির্ভাব একটা রহস্য হিসাবেই থেকে যাবে৷

ঔষধসম্বন্ধীয় বেশিরভাগ জিনিসের সাথে, সতর্কীকরণ এবং ঝুঁকি থেকেই যায়৷ সোনা আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, তাই এটি সবসময় যত্ন সহকারে ব্যবহার করা উচিত৷

এই পরিস্থিতি এবং চিকিৎসা হিসাবে সোনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে প্রদত্ত সাইটটি দেখুন http://www.arthritisresearchuk.org/