Published: 20 ফেব্রু 2018

ভগবান ভেঙ্কটেশের সোনালি কাহিনী

Golden story of Lord Venkateshwara

2016 সালে, ইতিহাসে প্রথম ভক্তদের অনুদান থেকে হওয়া তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের রোজগার 1,000কোটির সীমা ছাড়িয়ে যায়। প্রসঙ্গক্রমে, TTD ভারতের সবথেকে ধনী মন্দির, যেখানে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের আসন রয়েছে। আর এই প্রসঙ্গে, একটি গল্পও প্রচলিত আছে।

কাহিনী শুরু হয় বৈকুণ্ঠে ভগবান বিষ্ণুকে দিয়ে, যেখানে তার স্ত্রী দেবী লক্ষ্মী তাঁর বুকে বিশ্রাম নিচ্ছেন। হাজার হাজার বছর আগে, এক সময়।

ভগবান বিষ্ণুর বুকে ঋষি ভৃগু লাথি মারায়, ঋষির সাথে ভুল বোঝাবুঝির পর, ক্রুদ্ধ লক্ষ্মী তার স্বামীকে ত্যাগ করে পৃথিবীতে চলে আসেন।

হতাশ ভগবান বিষ্ণু তাঁকে অনুসরণ করে পৃথিবীতে আসেন এবং দেবী শান্ত না হওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। দু’জনেই পুনরায় দেহ ধারণ করেন-বিষ্ণু হন শ্রীনিবাস এবং দেবী লক্ষ্মী হন পর্বতরাজের কন্যা পদ্মাবতী।

যখন শ্রীনিবাস পদ্মাবতীকে বিবাহ করতে চান, তখন মেয়ের পিতা তা প্রত্যাখ্যান করে এই বলে যে পাত্র কপর্দকশূণ্য (তার পাশে লক্ষ্মী নেই), এবং বিবাহে রাজি হওয়ার শর্ত হল পাত্রীর জন্য পাত্রকে পণ দিতে হবে। শ্রীনিবাসের তখন কোন বিকল্প না থাকায় সে ধনের দেবতা কুবেরের থেকে মোটা ঋণ নেয়। কুবেরের প্রদত্ত সোনাই পর্বতরাজকে শ্রীনিবাস দেয়।

শ্রীনিবাস কুবেরকে বলে যে সে এই ঋণ কলিযুগের শেষে শোধ করবে। যদিও কুবের শ্রীনিবাস তথা ভগবান ভেঙ্কটেশকে যে অনুদান দিয়েছিলেন তার প্রদেয়র ওপর সুদ ছিল আর আজকের দিনের হিসাবে এই পণের পরিমাণ ছিল প্রচুর, তাই ভক্তরা তার অর্থ ভান্ডার পূরণ করতে দান করে।

ভক্তদের উদারতার জন্য তিনি বর দেন যা তাদের আরও শ্রীবৃদ্ধিতে বা সম্পদের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে কাজে লাগতে পারে।

তাই ভক্তরা ভগবান বিষ্ণুকে সম্পত্তি দেয় এবং তিনি তাদের ধনী করে আর এইভাবেই চক্রাকারে চলে এই মন্দির ভারতের সবথেকে ধনী মন্দির হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, এই দেবদ্বারের ছাদটি সম্পূর্ণভাবে সোনা দিয়ে আচ্ছাদিত।

বছরে প্রতিদিন 1 লাখের বেশি দর্শক তিরুপতি মন্দির পরিদর্শনে আসে। ব্রহ্মোৎসবের মত বিশেষ অনুষ্ঠানে, এই সংখ্যা 5 লাখ ছুঁয়ে যায়।

তবে ভক্তদের সমস্ত অনুদান সত্ত্বেও, কুবেরের কাছে বিষ্ণুর ঋণ রয়েই যায় আর তিনি বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে পারেন না আর পৃথিবীতে সবসময়ের জন্য বাধা পরে যান।