Published: 12 মার্চ 2018
দক্ষিণ আফ্রিকীয় সোনার কয়েন
![Krugerrand gold coin Krugerrand gold coin](/sites/default/files/styles/single_image_story_header_image/public/The-South-African-gold-coin_6.jpg?itok=iin_kXQe)
দক্ষিণ আফ্রিকা দীর্ঘকাল ধরে মূল্যবান ধাতু এবং রত্নের আঁকড় হয়ে রয়েছে। এই দেশটি কিছু বৃহত্তম সোনার খনির উৎসস্থল। আর তাই এক্ষেত্রে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার জাতীয় লেনদেনের (মার্কেটিং) সরঞ্জাম হিসাবে একটি স্মারক সোনার বাটের কয়েন প্রচলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 1967 সালে ক্রুগেররান্ড চালু হয় এবং প্রায় দুই দশক ধরে এই প্রসিদ্ধ কয়েনটি আধুনিক মূল্যবান ধাতুগুলির বাজার বর্ধিত করার জন্য দায়ী।
এক জোড়া শব্দ থেকে ক্রুগেররান্ড শব্দটি এসেছে। প্রথম অংশটি হল ক্রুগের, যেটি দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় এবং সবথেকে সম্মানীয় প্রেসি়ডেন্ট পল ক্রুগারের পদবি। শেষাংশটি হল রান্ড, যেটি দেশের জাতীয় মুদ্রার নাম। আজ ক্রুগেররান্ড 4টি ভিন্ন আকারে উপলব্ধ (1ওজ, ½ ওজ, ¼ ওজ, এবং 1/10 ওজ) এবং বিশ্বজনীন সোনার বাটের বাজারে একটি জনপ্রিয় পণ্য। ক্রুগেররান্ডের অভিমুখ পার্শ্বে পল ক্রুগারের আবক্ষ মূর্তির ছবি খোদাই করা আছে। তাঁর আবক্ষ মূর্তির চারপাশে একপাশে “সুইড-আফ্রিকা” এবং অন্যদিকে “সাউথ আফ্রিকা” লেখা যা আফ্রিকান এবং ইংরেজি হরফে দেশের নাম। কয়েনের বিপরীত দিকটি কোয়েটস্টেয়নবার্গের ডিজাইন করা এবং সেখানে একটি স্প্রিংবকের ছবি প্রদর্শিত, একধরণের স্থানীয় কৃষ্ণসারপ্রজাতীর প্রাণী এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় প্রতীক। অবশ্য তার সমস্ত গৌরবের জন্য ক্রুগেররান্ডের কোন সরকারী আক্ষরিক মূল্য নেই এবং এটি দেশে আইনি টেন্ডার হিসাবে ব্যবহৃত হয় না। এগুলি শুধুমাত্র দেশে সরকারী সোনার বাটের স্থিতি বজায় রেখেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকীয় ক্রুগাররান্ড ছিল আধুনিক বিশ্বের প্রথম তথা প্রাচীনতম সোনার বাটের কয়েন-বিশেষত এমন একটি কয়েন যেটি বিনিয়োগের সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহৃত হত। ক্রুগাররান্ডের সাথে প্রায় সরাসরি প্রতিযোগীতায় কেউই ছিলনা এবং সেটা ছিল সেই সময় যখন 90% সোনার কয়েনের বাজারের জন্য সোনার বাটকে গণনা করা হত।
যদিও, ক্রুগেররান্ড সবসময়ের এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগেররান্ডের সুযোগ নির্ধারণ করে অনেক দেশই সোনার বাটের ট্রেন ধরার চেষ্টায় ছাপ দেয় এবং তাদের নিজস্ব সোনার কয়েন চালু করে। কানাডীয় গোল্ড মেপল লিফ (1979), চীনদেশীয় গোল্ড পান্ডা (1982) এবং আমেরিকীয় গোল্ড ঈগল (1986) ক্রুগেররান্ডের বাজারের ভাগ কমিয়ে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা সমগ্র আফ্রিকার মধ্যে ভারতের সবথেকে বড় ব্যবসায়ীক অংশীদার এবং দামি ধাতুর শিল্পে ক্রুগেররান্ড এখনও গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসাবে বিবেচিত।