Published: 01 সেপ্টে 2017

সোনার সাথেই মহাকাশের জীবন সম্ভবপর হয়েছে

মজার বিষয় মনে হলেও, ক্যান্সার নিরাময়ের গবেষণায় সোনা প্রয়োজনীয়৷ পৃথিবীর গবেষণাগারগুলিতেই কেবলমাত্র নয়, সেখান থেকে বেড়িয়ে জগৎ থেকে বেড়িয়ে আন্তর্জাতির স্পেস স্টেশান (International Space Station, ISS)-এও তার ব্যাপ্তি রয়েছে৷ এই বছরের শুরুতে, নাসা-র বিজ্ঞানীরা দেখেন যে মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা ক্ষুদ্রমাধ্যাকর্ষণের পরিবেশ ISS আরোহন করলে তা কালচার থেকে কোষের ক্ষয় কমানোতে সাহায্য করে, নির্দিষ্ট আকারে কালচার তৈরি করতে পারে এবং যে বিশ্লেষণের জন্য কোষের বর্ধনকে উন্নত করতে পারে-যার সমস্ত কিছুই গবেষণার ফলাফলকে আদতে উন্নত করে৷

নাসার ম্যাগনেটিক 3ডি সেল কালচারিং গবেষণা, কোষের কালচারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চৌম্বক শক্তির পৃথিবী-ভিত্তিক কৌশলের ওপর প্রয়োগ করা হয়৷ তুলনামূলক ভালোভাবে কোষগুলিকে চালনা করতে, মানব ফুসফুসের ক্যান্সারের কোষের কালচারের জন্য গবেষকরা একটি পলিমার ম্যাট্রিক্সে সোনার অনু বা কণা যোগ করে৷ এই অনুগুলি দৃঢ়ভাবে কোষের ঝিল্লির সাথে বাঁধা থাকে, যার কারণে চুম্বকের সাথে চালনা করা সম্ভবপর হয়৷

হউস্টনের ন্যানো3ডি বায়োসায়েন্সেস, ইঙ্কের প্রধান গবেষক গ্লাসকো সউজা এবং তার সহকর্মী একটি গবেষণা করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে যখন পৃথিবীতে পরীক্ষা করা হয় তখন সোনার ন্যানোপার্টিকেল জীবতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মধ্যে হস্তক্ষেপ করেনা৷

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশান প্রোগ্রাম অফিসের থেকে মেলিস্সা গাসকিলের সাথে একটি কথোপকথন কালে, ইউনির্ভাসিটি অফ কলোরাডোর, বায়োসার্ভ স্পেশ টেকনোলজিসের গবেষণা সহায়ক, প্রজেক্ট ম্যানেজার লুইস জিয়া বলছেন, “এই প্রযুক্তি হয়তো আমাদের কোষগুলিকে মহাকাশে চালনা করার জন্য এমনভাবে সমর্থ করে তুলবে যা এখন সম্ভব নয়”৷ বায়ো-প্রিন্টিং নামে পরিচিত প্রযুক্তিটি, মহাকাশে একটি পৃষ্ঠতলে দুটি দিকে কোষের কালচার বৃদ্ধিকেও সম্ভবপর করে তুলেছে, যেভাবে তারা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়৷

জিয়া ব্যাখ্যা করে বলছেন, “পৃথিবীতে, বায়োফিল্ম মাধ্যমে আপনি কোষগুলি দিলেন আর সেগুলি তার পৃষ্ঠতলেই বৃদ্ধি পেল”৷ “এটা মহাকাশে সম্ভব নয়৷ তাই বর্তমানে, আমরা একটি মিডিয়ামে বা মাধ্যমে একটি জমিতে কোষগুলি বৃদ্ধি করছি, যা মহাকাশে লঞ্চ বা প্রেরণ করা হবে এবং তারপর শুরু হবে গবেষণা৷ সোনা ও চুম্বকের ব্যবহারের সাথে, আমরা পৃথিবীর মতই মহাকাশে কোষের কালচার বৃদ্ধি করা শুরু করতে পারি৷”

এই প্রযুক্তিটি অগ্রবর্তী কোষের কালচারের প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য, বিভিন্ন টিস্যু ও ড্রাগের উৎপাদনের জন্যও কার্যকর প্রয়োগ, যেমন বর্তমান চর্চায় ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য প্রতিকার তৈরি করার চেষ্টা চলছে৷ এমন ধরণের কালচার তৈরি করা হচ্ছে যারা পৃথিবীতে জীবিত দেহের টিস্যুর বৈশিষ্ট্যকে সহজেই অনুকরণ করার ক্ষমতা রাখে, উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ওষুধ ডেভেলপমেন্টের খরচ কমাচ্ছে৷ দামি ওষুধ তৈরিতে মূল্যবান ধাতু তুলনামূলক সস্তা: এটি এক মধুর বিদ্রূপ৷