Published: 04 সেপ্টে 2017

ভারতে সোনা কেনার জন্য কোন নথিগুলির প্রয়োজন?

অনেক ভারতীয়ের কাছেই সোনা বিনিয়োগ এবং সোনার গহনা বারোমেসে পছন্দ। বহু বছরেও এই প্রচলন খুব কমই পরিবর্তন হয়েছে, কেবলমাত্র বিভিন্ন ধরণের সোনা বিনিয়োগের মাধ্যমে সেগুলি একত্রিত হয়েছে। যখন কোনধরণের বিনিয়োগ কেনা হয়, বিনিয়োগগুলিকে ট্র্যাক করার জন্য কিছু প্রাথমিক অনুবর্তিতা আবশ্যিক হয়ে পরে। সোনা কেনায় পার্থক্যে বেশ কিছু নথিকরণের প্রয়োজন হয়, তবে যখন অন্য সেভিংসের ইন্সট্রুমেন্ট কেনা হয় তার সাথে মোটামুটিভাবে এটি প্রয়োজনে তুলনাযোগ্য। দেখে নেওয়া যাক বাস্তবে সোনা কেনার সময় বা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক রূপে সোনার বিনিয়োগ কেনার সময় আপনার কি কি দেওয়া প্রয়োজন।

বাস্তবের সোনা

যদি একজন ব্যক্তি 2 লাখ টাকার কম মূল্যের সোনার গহনা কেনে, তাহলে কোন নথিপত্রের প্রয়োজন হয়না। গ্রাহক গহনার দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পারে। এই বিশেষ উদাহরণটি সোনার ক্ষেত্রে বিশাল বড় সুবিধাগুলির একটা, যেখানে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কোন নথির প্রয়োজন হয়না।

তবে, এটি মনে রাখতে হবে যে 2 লাখ টাকার বেশি সোনার গহনা কেনার ক্ষেত্রে প্যান কার্ড আবশ্যক। অতীতে, 5 লাখ টাকার ঊর্ধ্বে গহনা ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্যান কার্ড আবশ্যক ছিল। তবে, সরকার এই নিয়মটি পরিবর্তন করেছে যেটি 2016 সালের 1লা জানুয়ারী থেকে চালু হয়েছে। প্যান কার্ড জমা দেওয়ার অর্থ এই নয় যে কোন ব্যক্তিকে কর দিতে হবে-এটা শুধু আরও বেশি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং একটি ভালো অনুশীলনও বটে। এটি সরকারের নোটবন্দির পর আরও প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।

গোল্ড ইটিএফ

গোল্ড ইটিএফ হল আরেক ধরণের জনপ্রিয় বিনিয়োগের পথ এবং গত কয়েক বছরে ভালো অর্থের প্রবাহ দেখেছে। গোল্ড ইটিএফ কেনার জন্য একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে “আপনার গ্রাহককে জানুন” প্রয়োজনীয়তাগুলি আপনাকে মেটাতে হবে। এর অর্থ হল একজন ব্যক্তির পরিচয় পত্র এবং ঠিকানার প্রমাণপত্রের প্রয়োজন। কোন ব্রোকিং অ্যাকাউন্ট বা কোন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে, আপনার স্টক ব্রোকার আপনাকে পরামর্শ দিতে পারে এই তথ্য দেওয়ার জন্য কোন নথিগুলি যোগ্য হবে (পরিচয়/ঠিকানার প্রমাণ পত্র হিসাবে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু নথি অনুমোদিত হয়)।

সার্বভৌম সোনার বন্ড

কয়েক বছর আগে আসা, এই বন্ডগুলি সোনার বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে আধুনিকতম সংযোজন। এই বন্ডগুলি ভারত সরকার ইস্যু করে এবং পোস্ট অফিস থেকে কেনা যায়। ব্যক্তিরা এই বন্ডগুলি দেশের সেবি-অনুমোদিত ব্রোকারদের মাধ্যমে কেনে। সার্বভৌম সোনার বন্ডের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ধরে রাখার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার আগে আপনার ঠিকানার প্রমাণ এবং পরিচয় পত্র আবশ্যক। সংক্ষেপে বললে, “আপনার গ্রাহককে জানুন”-এর প্রয়োজনীয়তাগুলি আপনাকে মেনে চলতে হবে।

বিভিন্ন বিনিয়োগের পথ থেকে যেমন দেখা যাচ্ছে তাতে নথিপত্র ছাড়া সহজতম পথ হল বাস্তবে সোনা কেনা (যদি আপনি 2 লাখ টাকার মধ্যে সোনা কেনেন)। বাস্তবে সোনা কেনা বিনিয়োগের সবসময় সহজতম এবং সাবলীল ধরণ এবং সেটির পরিবর্তন হওয়া অসম্ভব। এমনকি বিক্রিও কোন নথি ছাড়া সাবলীলভাবে সম্ভব। এই কারণেই সোনার খরচের মূল্য না ভুললে দেখা যাবে সর্বদা এটি পছন্দের সম্পত্তির শ্রেণীতে পরে।