Published: 09 ফেব্রু 2018

সোনা-ঈশ্বরের ধাতু!

নবম গ্রহের আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত, আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করত যে কেবলমাত্র সাতটি গ্রহ আছে যাদের নাম সূর্য, চন্দ্র, বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি৷ এই গ্রহগুলির নিজস্ব ধাতু অথবা রত্ন আছে, যা রংয়ের মাধ্যমে এই গ্রহগুলির জীবেদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে৷ এই সাতটি গ্রহ সপ্তাহের সাতটি দিনের সাথে সম্পর্কিত ছিল।

উজ্জ্বল হলুদ রং এবং সূর্যের প্রগাঢ় তাপের (যাকে আমরা এখন গ্রহের বদলে নক্ষত্র বলে জানি) সাথে একটি আকর্ষণীয় ধাতুর সদৃশ ছিল যা তার জ্যোতি ও শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আদর্শ ছিল- আর সেটি, অবশ্যই সোনা।

অনেক কাহিনীর মধ্যে এটি একটি কাহিনী যা সোনার পবিত্রতা ও শুভ লক্ষণকে এবং তার সাথে আসা নিম্নলিখিত বিশ্বাসগুলিকে বর্ণনা করে:

  • সূর্যের সাথে এটির সংযুক্তির একটি কারণ অবশ্যই ঔজ্জ্বল্য, কিরণ এবং সোনার ধাতুটির রং।
  • আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল এটি একমাত্র ধাতু যেটি ভয়ঙ্কর আগুনের মুখে রক্ষা পায় এবং বিন্দুমাত্র কালো না হয়ে ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে অথবা অন্য ধাতুর মত এটিতে মরিচাও পরেনা। এইভাবে, সোনায় সূর্যের ঔজ্জ্বল্য এবং উত্তাপ, ঠান্ডা অথবা অন্য যেকোন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হত, যেটি এখনও তার আলোকচ্ছটা রেখেছে।
  • জ্যোতিষশাস্ত্রে, সূর্যকে জ্ঞান ও সম্পত্তির জন্য দায়বদ্ধ করা হয়। সেই একই সংযুক্তিতে, সোনা মালিক/পরিধানকর্তার জীবনে জ্ঞান ও সম্পত্তি নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়।
  • কেবলমাত্র হিন্দু সংস্কৃতিতেই নয়, বিভিন্ন সংস্কৃতি জুড়ে মানুষরা এই ধাতুটিকে ধনসম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করে।
  • মিশরীয় সংস্কৃতিতে, একটি সোনার নেকলেস চিরন্তর জীবনের প্রতীক হিসাবে পরিগণিত হত এবং যে মানুষদের সামাজিক ও ধর্মীয গুরুত্ব ছিল তাদের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য একটি সোনার কাসকেটে কবর দেওয়া হত।
  • খ্রিষ্টান ধর্মে, একটি সোনার আংটি পবিত্র বিবাহের বন্ধনকে চিহ্নিত করে। নবদম্পতি যে নতুন জীবন কাটাতে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে এই সম্প্রদায় সোনাকে আনন্দ ও সমৃদ্ধির চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করে।

সোনা সবথেকে মূল্যবান ও পবিত্র ধাতু হিসাবে আমাদের কাছে রয়েই গেছে।