Published: 20 ফেব্রু 2018

জিএসটি: হঠাৎ এসে পরল কি রাস্তায়?

GST on gold and some unanswered questions

নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অথবা জিএসটির প্রতিষ্ঠান গহনা তৈরির শিল্পকে যথেষ্টই সঙ্কটের সম্মুখিন করেছে। যে শিল্প তার সংগঠিত কর্মশক্তির জন্য পরিচিত, নতুন শুল্ক ব্যবস্থা সেক্ষেত্রে নিয়ে আসে অনেক অনুবর্তিতার সমস্যা যা তাদের প্রাত্যহিক কাজের জীবনকে ব্যহত করে। পক্ষান্তরে ডিজিটাল সিগনেচারের আবশ্যিকতার দ্বারা কেতাদুরস্ত শিল্পীরা সূক্ষ্ম সোনার গহনায় তাদের নিখুঁত কাজের জন্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়-যদি তারা জিএসটি-র অনুবর্তী হয় তাহলে ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য হয়ে যায়।

ভারতীয় সোনা, রত্ন, হীরের গহনার বাজারের প্রায় 75% অসংগঠিত, এগুলি অত্যন্তভাবে ক্ষুদ্রতর খেলোয়ারদের দ্বারা প্রভাবিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, জিএসটি-র অধীনে, 20লাখ- 75লাখ টাকার টার্নওভার পাওয়া যায় যৌথ তালিকার অধীনে, যেখানে 75লাখ টাকার অধীক টার্নওভার আসে সম্পূর্ণ ট্যাক্স নেটের অধীনে।

এই পরিস্থিতি প্রদান করে, একটি কাঠামো হিসাবে এই শিল্প নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর চায়:

  • কিভাবে সরকার এই শিল্পের সাহায্যার্থে এই শিল্পী/জহুরিদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের প্রস্থাব দেবে, অন্যভাবে বললে কিভাবে তাদের জিএসটি-র অনুবর্তী করে তুলবে?
  • গহনার মূল্য শৃঙ্খলে, শিল্পী, রিটেলার বা দোকানদার, হোলসেলারদের মত প্রতিটি সত্তার বিভিন্ন কাজ ও অবস্থান সম্পর্কে সরকারের স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন-যাতে তাদের নিজ নিজ জিএসটি সম্পর্কিত দায় নির্ধারণ করা যায়।
  • সোনা ও গহনার ব্যবসায় ক্লায়েন্টরা প্রায়ই বিনিময়ের পথ নেয় এবং তাদের সোনার অংশ হিসাবে মেকিং চার্জ প্রদান করে। এই লেনদেনের ওপর কিভাবে কর গণনা করা হবে তাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি?

হলুদ ধাতুর প্রতি ভারতের ভালোবাসা এবং 3% জিএসটির হার ও 10% আমদানি শুল্কের সাথে, ইতিমধ্যেই এই ভাবনা বিবেচনা সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে যে এটি সোনার চোরা কারবারকে তরান্বিত করতে পারে যেহেতু ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই কোন রসিদ ছাড়া কাজ চালানোর জন্য প্রলুব্ধ হচ্ছে। এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে সরকার দুর্ঘটনাবশত এমন একটি পথ অবলম্বনের অধিকার দিয়ে দিয়েছে যা কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। কিছু জুয়েলার্সের মতে একমাত্র উজ্জ্বল দিক হল জিএসটির প্রয়োগকরণের ফলে কিছু রাজ্যের কর সুবিধা ভোগ করার বিষয়টি নির্মুল হবে যেহেতু এটি আঞ্চলিক দক্ষ জহুরীদের অভিবাসন বন্ধ করে।