Published: 27 সেপ্টে 2017

ভারতীয় পরিবারগুলির পৈতৃক সম্পত্তি সর্বদা সোনার মতই উজ্জ্বল

Indian Gold Jewellery

ভারতের একটা সোনার হৃদয় আছে৷ প্রত্যেক ভারতীয়ের মনে সোনার প্রতি একাধিক কারণে গভীর মূল্য রয়েছে৷ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই আমাদের মা, কাকিমা এবং ঠাকুমাদের প্রতিটি বিশেষ পারিবারিক অনুষ্ঠানে অপূর্ব সুন্দর সোনার গহনায় সাজতে দেখেছে৷ এই গহনার বেশিরভাগই পৈতৃক সম্পত্তির মত এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে চলে আসে, অনেক যুবতী মেয়েই ছোট থেকে স্বপ্ন দেখে কবে ওই গহনাগুলি সে পরবে৷

প্রজন্ম ধরে সোনার গহনা চলে আসা কোন ব্যক্তির উত্তরাধিকারকে সুন্দরভাবে প্রতিনিধিত্ব করে৷ মা তার গহনা তার মেয়েকে দেবে বা কোন ‘খানদানি’ (পারিবারিক)চুড়ি বা আংটি নতুন বউকে স্বাগত করার জন্য আলাদা করে রাখার ঘটনাটি ভারতে বিরল নয়৷ কখনও কখনও সোনার চুড়ি বিয়ের প্রস্তাবের চিহ্নও হয়, অন্যান্য সময় এটি আপনার সন্তানের প্রতি আপনার অমূল্য ভালোবাসার পরিচায়ক হয়ে ওঠে৷

অনেক ভারতীয়ই ভবিষ্যতে সোনার দাম বেড়ে যেতে পারে ভেবে সোনার গহনা কিনে রাখে; বংশধরদের জন্য আমরা যে পৈতৃক সম্পত্তি পার করে দিই তা তাদের সংস্কৃতিতে দীর্ঘমেয়াদে অত্যন্ত মূল্যবান বিনিয়োগ হিসাবে প্রতিপন্ন হয়! এই আচারটি এখনও বেশিরভাগ পরিবারে চলে আসছে৷ যে সময় শিশু জন্মায়, ভারতীয় মায়েরা সোনার গহনা কেনার জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে শুরু করে৷ সাধারণত, পরিবারের ছেলে বা মেয়েটি যখন বিয়ে করে তখন তাদের মা-বাবারা পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে যা পেয়েছে তার সাথে এই সমস্ত গহনা তাদের বিয়েতে উপহারস্বরূপ দেয়৷ তাই, প্রথা চলেই আসছে৷

ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিয়ের দায় হিসাবে সোনা একটি অত্যন্ত সংহত অংশ, ফলত যখন একজন বিবাহ পরবর্তী জীবন শুরু করে, খুব কম দম্পতিই সম্পত্তির বিষয়ে চিন্তা করে৷ পরিবারগুলি তাদের পৈতৃত সম্পত্তি নতুন-বিবাহিত দম্পতিকে দেয় যা তারা বিক্রি করে পারে এবং তাদের নতুন জীবনের জন্য ব্যবহার করতে পারে৷ তবুও, ভারতে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির বিষয়টি খুব বেশি জনপ্রিয় নয়, কারণ এর সাথে অনেক আবেগপ্রবণ মানসিকতা যুক্ত আছে৷ বিশেষত, আবার যদি সেটি অনেক প্রজন্ম ধরে চলে আসে৷ তাই, সঙ্কটের সময় বেশিরভাগ ভারতীয়কে আপনি অন্য আর্থিক উৎস খুঁজতে দেখবেন, সোনা বিক্রির ভাবনাটি তাদের কাছে শেষ বিকল্প হিসাবে নির্বাচিত হয়৷