Published: 12 মার্চ 2018

নাগেট উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া

Nugget producing bacteria

সোনা ভূগর্ভ থেকে তার যাত্রা শুরু করেছে এবং এটির সাথে কিছু লক্ষ্যণীয় বস্তু সর্বদা থেকে গেছে-ব্যাকটেরিয়া৷ চলুন এক মিনিটের জন্য সহায়তা নিয়ে নিই৷ প্রাথমিক সোনা প্রস্তুতির জন্য পৃথিবীর গভীরে থাকা মাটির তাল, জ্বলন্ত তাপ এবং উচ্চ চাপের স্তরকে একত্রিক করতে হয়৷ জৈবচাপ আবহাওয়ার কারণে এই সোনা মাটি ও জলে তার পথ খুঁজে নেয়৷ সমুদ্রের দিকে যাওয়ার সময়, প্রাথমিক সোনার সাথে সামান্য কিছু জীবাণু সংস্পর্শে আসে, এটিকে দ্রবীভূত করে, রূপোর কণাগুলি থেকে এটিকে মুক্ত করে এবং তারপর এটিতে খাঁটি সোনার নাগেটে পুনর্গঠিত হতে সাহায্য করে৷ এই জীবাণু অথবা বলা যায় অনেকগুলি এই জীবাণুর একটি দল, যাদের ইউনির্ভাসিটির অফ অ্যাডেলেইডের বিজ্ঞানীর অতিমাত্রায় নজরে রেখেছেন৷

পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের নীচে এই জীবগুলি সর্বদা সোনার প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকে, যাদের অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘নাগেট উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া’ বলা হয়৷ এটা সাম্প্রতিক ঘটনা, যখন বিজ্ঞানীরা প্রক্রিয়ায় একটি সময়ের ব্যপ্তি প্রয়োগ করতে সমর্থ হয়েছে৷ ব্যাকটেরিয়ার জন্য, সোনাকে তার গঠন চক্রের মধ্য দিয়ে যেতে সামান্য কিছু দশক সময় লাগে এবং বিজ্ঞানীদের মতে, এটা ভূতাত্ত্বিক সময়ে “এক চোখের পলক” মাত্র৷ এই আবিষ্কারের সোনার খনন সম্পর্কে আমাদের জানা সমস্ত বিষয়ের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা আছে৷ এটি পদ্ধতিকে অর্থনৈতিকভাবে টেকসই এবং দ্রুত তথা একই সাথে দক্ষ করে তুলতে পারে৷

এরকম অনেক সুন্দর বিষয় রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া করতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা সেগুলিই আবিষ্কার করে চলেছে যা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াকরণের প্রকৌশল উন্নয়নের টিকিট হতে পারে, লুকানো সোনার খনিগুলি আবিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে এবং আকরিক প্রক্রিয়াকরণটি উন্নত করতে পারে৷ আরও বেশি কি হতে পারে, কতটা খাঁটি প্রত্নতাত্ত্বিক অথবা প্রাচীন সোনার চারুকলা সেটা পরীক্ষা করার জন্য ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে, কার্যকরভাবে নকল বাতিল করতে পারে৷ নাগেট উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা নিয়ে গবেষণা প্রায় দশ বছর ধরে চলছে, যা প্রাথমিকভাবে ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাডেলেইডের বৈজ্ঞানিকরা শুরু করেছিল৷ কেমিকেল জিওলজি জার্নালে রিপোর্ট করা হয় যে একটি নিবেদিত টিম তাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছানের জন্য ইলেকট্রন-মাইক্রোস্কপির উচ্চ রেসল্যুশানের অধীনে অসংখ্য সোনার কণা নিয়ে চর্চা করছে৷ যারা এই ধাতুর প্রতি আসক্ত যারা, তারা এদের চলমান প্রচেষ্টায় আশা রাখতে পারে৷ কারণ, সোনার থেকে সুন্দর বোধ হয় আর কিছু নেই৷