Published: 04 সেপ্টে 2017
সোনা খননের অতীত এবং ভবিষ্যত
![Technological advancements in Gold Mining Technological advancements in Gold Mining](/sites/default/files/styles/single_image_story_header_image/public/Past%20and%20Future%20of%20Gold%20Mining.jpg?itok=mhkMKvLn)
জিওগ্রাফিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI)-র মত অনুযায়ী, রোমানরাই সম্ভবত প্রথম সোনা খনন ও অন্বেষণের প্রক্রিয়াটি পরিচালনা শুরু করে, যার প্রমাণ খ্রি.পূ. 8ম শতাব্দিতে সোনায় বানানো উপাদানে পাওয়া যায়।
ভারতে, ঋগ্বেদ, পুরান, মহাভারত, রামায়ণ এবং অন্যান্য মহাকাব্যে সোনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে, 200 শতাব্দিতে কর্ণাটকের হুট্টি সোনার খনি থেকে সোনা খননের প্রমাণ পাওয়া যায়। GSI-এর মত অনুযায়ী, অপর্যাপ্ত তথ্যের কারণে ভারতে সোনা খননের ইতিহাস অনিশ্চিত। এর ফলে দেশের আড়ে-দিঘে এক সারি সোনার খনি আবিষ্কার এবং পুনরাবিষ্কার হয়েছে।
অনেক শতাব্দি ধরে, এশিয়ার তৃতীয়-বৃহত্তম অর্থনীতিতে হাজার হাজার মানুষের পারিবারিক সঞ্চয়ের প্রাথমিক উপায় হিসাবে সোনা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে, যার জন্য বিবাহের মরসুমে এটির চাহিদা বেড়ে যায় এবং তা বিশ্বজনীন সোনার দামের গতিবিধি পরিবর্তন করতে পারে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার আমদানিকারক হিসাবে, বিশ্ব সোনা কাউন্সিল গণনা করে দেখেছে যে ভারত এক বছরে সোনা কেনার জন্য $30 বিলিয়নের বেশি খরচ করে এই মূল্যবান ধাতুটিকে অপরিশোধিত তেলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানির উপাদান করে তুলেছে-এই সংখ্যাটি অনেক ভারতীয় আমলার কাছেই ভাবনার বিষয়।
2017 সালের শুরু থেকে, ভারত সরকারের খনি মন্ত্রণালয় ভারতের ব্যবসার ঘাটতি কমাতে ভারতীয় উপদ্বীপ জুড়ে খনিগুলি পুনরুজ্জীবিত করার ও অন্বেষণের চেষ্টা শুরু করেছে।
মন্ত্রণালয় দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের ঔপনিবেশিক-যুগের সোনা খনিগুলির অন্বেষণের জন্য রাজ্য-চালিত মিনারেল এক্সপ্লোরেশান কর্পোরেশান লি.-কে সংগঠিত করে। 15 বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া-কোলার সোনার খনিটিতে এখনও $2.1 বিলিয়ন সোনার আমানত মজুদ আছে বলে গণনা করা হয়েছে।
খনি মন্ত্রণালয় বলেছে যে কোলার খনিতে বিনিয়োগ সরকারকে তার আমদানির বিল কমাতে সাহায্য করবে, এর সাথে এও বলেছে যে দক্ষিণের অঞ্চল জুড়ে অব্যবহৃত সোনা রিসার্ভ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
খনিগুলির পুনরুদ্ধারে এবং বিপুল সম্ভাবনার সাথে শিল্প শুরুর ক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টা যেমন চলছে, তাতে নতুন এবং প্রায় ভুলে যাওয়া আমানতগুলি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের মত জায়গায় খুঁজে বার করা হবে। অন্বেষণ এবং খননের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যের সম্পূর্ণ সহায়তার ফলে, ভারতবর্ষের একটি প্রধান সোনা উৎপাদক হয়ে ওঠার অনুমেয় সুযোগ আছে।