Published: 27 সেপ্টে 2017

সোনার সাথে সম্পর্কিত প্রথা ও বিশ্বাস

Traditional pure gold jewellery

ভারতবর্ষ তার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সাথে নিয়ে অনন্য এক দেশ, এই দেশে একটা বিশ্বাসের দৃঢ় পদ্ধতি রয়েছে যা বহু শতাব্দি ধরে চলে আসছে। ভারতীয়রা তাদের জীবনে সবকিছুই করে থাকে তাদের ধর্ম, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে। সমস্ত বদ্ধমূল ধারণার মধ্যে, ধাতু হিসাবে সোনা এবং তার গহনা ভারতীয়রা পবিত্র বলে মনে করে।

দৃঢ়মূল বিশ্বাসই আমাদের আচরণকে তাড়িত করে বলে দেয় কিভাবে অলঙ্কার পরা হয়- কোন ব্যক্তি কোনটা পরবে, শরীরের কোথায় সেটা থাকা উচিত এবং পরিধানকর্তার কাছে প্রত্যেকটা আলাদা জিনিষের গুরুত্ব কি। এক্ষেত্রে এটাও মনে করা হয় যে কয়েকটি বিশেষ ধরণের গহনা পরলে স্বাস্থ্যে ও মানসিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পরে।

এই প্রবন্ধে, আমরা এইরকমই কিছু বিশ্বাস ও প্রথার কথা আলোচনা করব যা বিস্তৃত পরিসরে প্রাচীন ভারতে অনুসৃত হত এবং কিছু প্রভাব আজকের ভারতে জনজীবনে আজও বর্তমান।

  • সোনা এবং মানব শরীর

    মনে করা হয় সোনার আরোগ্য ক্ষমতা আছে, আর বিশ্বাস করা হয় যখন শরীরের সঠিক অংশে পরা হয় তখন এটি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান করে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাসের খোঁজ দেওয়া হল:

    • শেষ আঙ্গুলে সোনা পরলে তা ঠান্ডা লাগা, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
    • সোনার লকেট পরলে বা গলার কাছে সোনা রাখতে তা বৈবাহিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
    • মধ্যম আঙ্গুলে সোনার আংটি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা সমাধান করে।
  • সোনা এবং ধর্ম

    ধর্মশাস্ত্রের (ধর্মীয় বই) সেরা ধাতু হিসাবে সোনা বিবেচিত কারণ এটিতে মরচে পরেনা। সোনার ঔজ্জ্বল্য এবং চমক স্থায়ী। তাই, এটি দেবতার অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

    এই বিশ্বাসগুলির সদৃশ, এগুলির সমর্থনে আরও অনেক গল্প, ধর্মীয় উপাখ্যান তথা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। কিছু মানুষ আছে যারা এই বিশ্বাসকে সমর্থন করেনা, তবে নিরপেক্ষভাবে, এই বিশ্বাসের সাথে বা বিশ্বাস ছাড়া সোনা সবথেকে মূল্যবান এবং অন্যতম চাহিদার ধাতু।