Published: 04 অক্টো 2017

ফ্যাশান ক্ষেত্রে সোনার বিবর্তন

Woman wearing traditional gold necklace and earnings

অলঙ্করণের কলা মানবজাতির মতই প্রচীন। আর এই চিত্তাকর্ষক চারুকলা মূল্যবান, উজ্জ্বল ধাতু সোনা ছাড়া হয়তো অসম্পূর্ণই থেকে যেতো৷ সমৃদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং সম্পদের চিহ্ন স্বরূপ সোনা ভারতীয় সংস্কৃতিতে সর্বদাই বিশেষ স্থান নিয়ে এসেছে এবং এটি এখন সারা দেশ জুড়ে গহনার বাক্সে প্রধান প্রতিভূ।

এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বছরের পর বছর বিভিন্ন পথে সোনা আমাদের অলঙ্কৃত করে চলেছে।

রাজপুতানা গহনা

7ম থেকে 19 শতক পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন অংশে রাজপুত বংশ রাজত্ব করেছে। তারা তাদের আমলে কয়েকজন দক্ষ শিল্পী এনেছিল যাদের দৌলতে আমরা কিছু সেরা সুন্দর সোনার গহনার ডিজাইন পেয়েছিলাম।

অনন্য শিল্প কুন্দনের সোনার গহনার ডিজাইনের জন্য অসাধারণ দক্ষতার প্রয়োজন। একটি চিত্তাকর্ষক গহনায় সোনা ধাতুটির বিশুদ্ধ রূপ (কুন্দন) রত্ন দ্বারা খচিত থাকে। এই পরিশ্রমসিদ্ধ ডিজাইনগুলি রাজস্থানী বিয়ের কনেদের কাছে খুব জনপ্রিয়।

মীনাকরী গহনার ডিজাইনে সোনার অলংকারে রঙীন এনামেল ব্যবহার করে একটি আবরণ খচিত করা হয়। এই ডিজাইনগুলি জনপ্রিয়ভাবে জয়পুরে তৈরি হয়।

জাডাউ কাজটি কুন্দন এবং মীনাকরী কাজের সংমিশ্রণ।

থেওয়া কাজে হস্তনির্মিত, ছাঁচে ঢালা, রঙীন কাঁচের মধ্যে একধরণের জটিল সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ করা হয়।

যদিও এই ডিজাইনগুলি সেই মুঘল আমলের, তবু আজকের দিনও এগুলির জনপ্রিয়তা প্রচুর। একজন রাজস্থানী বিয়ের কনে রাজপুতানা গহনা ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

তারের (ফিলিগ্রি) ডিজাইন

সোনার গহনার তারের ডিজাইনে অন্তর্বর্তী সোনার তার বোনা থাকে যা দেখলে একটি দড়ির মত মনে হয়। এই ধাতবকার্যটি ওড়িষার কটক শহরের শিল্পীরা ঊনবিংশ শতকের শেষের দিক থেকে শুরু করে বলে শোনা যায়।

এই প্রাচীন শিল্পকর্মটি সারা ভারতে আজও একইভাবে জনপ্রিয় এবং সেরা রাজকীয় প্রাচীন গহনার শিল্পগুলির অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। এটির হালকা ওজন এবং দেখনদারিতে আধুনিকতা, যেকোন গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট ইভেন্টে আপনার অফিসের চেহারা এক লহনায় বাড়িয়ে তোলার জন্য আদর্শ।

বিয়ের কনের গহনা

আমাদের আধুনিক-দিনের বিয়ের গহনায় অনেকটা রাজকীয় পরিধান থাকে, তবে তা কৌশলে যদিও গুরুত্বপূর্ণ নবরূপায়নে। লম্বা, আড়ম্বরশালী নেকলেস প্রতিস্থাপিত হয়েছে স্তরীভূত গলার হারের পরিবর্তে যেগুলি সোনার যেকোন রঙেই দেখতে সুন্দর, তা সবুজ হোক বা গোলাপী বা সাদা বা হলুদ। মুকুটের মত গহনা যেমন মাংটিকা (টিকলি), হাথফুল এবং নথ (নাকচাবি) এখন অনেক তুলনায় অনেক বেশি প্রচলিত।

কর্মরতা মহিলাদের গহনা

আজকাল, মহিলারা সুক্ষ্ম গহনাই পছন্দ করে যেমন ম্যাট সোনার চেন, সূক্ষ্ম কাজ করা ব্রেসলেট বা ডিজাইনার কানের দুল যা তাদের কাজের জায়গায় ফর্মাল বা আধা-ফর্মাল পোশাকের সাথে মানায়।

ভারী গহনা যা মহারাজা এবং মহারাণীদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল এককালে তা আজকের দিনে কেবল বিশেষ অনুষ্ঠানেই ব্যবহার করা হয় বা বংশানুক্রমে গচ্ছিত থাকে তবে সোনার মত গুপ্ত, সম্মানিত, মূল্যবান ধাতু সবসময় তার মূল্য বহন করবেই।

Sources: Source1, Source2, Source3, Source4, Source5, Source6, Source7, Source8, Source9, Source10