Published: 27 সেপ্টে 2017

কারা তাদের বিয়ের দিন সবথেকে বেশি সোনা পরে?

বিশ্ব সোনা কাউন্সিলের প্রতিবেদন “ভারতের সোনার বাজার:মূল্যায়ন এবং উদ্ভাবন” অনুযায়ী, কেরালার পাত্রীরা তাদের বিয়েতে সবথেকে বেশি সোনা পরে৷ এমনকি, দেখা গেছে পাত্রীরা গড়ে প্রায় 40টির মত সোনার জিনিস বা 320গ্রাম সোনা পরে৷

তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের পাত্রীরা অবশ্য বেশি দূরে নেই, উভয় রাজ্যের পাত্রীরাই তাদের বিয়েতে গড়ে 300গ্রাম সোনা পরে৷ এমনকি, বিশ্ব সোনা কাউন্সিলের সাথে ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেস সোমসুন্দরম পিআর-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ভারত)-এর একটি ইন্টারভিয়্যুতে তিনি বলেন “...দক্ষিণভারতের চারটি রাজ্য থেকে বিয়ের গহনার জন্য সোনার খরচের পরিসর 280 গ্রাম থেকে 320গ্রাম পর্যন্ত হয়-যা অন্য যেকোন অঞ্চল থেকে অনেকটাই বেশি৷ ভারতীয় সোনার গহনার বাজারের 40% যে দক্ষিণাঞ্চল দখল করে রেখেছে তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকেনা৷

ভারতীয় বিয়ের কনেকে যে সোনা দেওয়া হয় তাকে বলা হয় ‘স্ত্রীধন’, যা আসলে তার বিয়ের সময় তাকে দেওয়া ধনসম্পত্তি৷ সোনা কেবলমাত্র শুভ বলেই তাকে দেওয়া হয়না সাথে এটি সমৃদ্ধি এবং সুরক্ষারও চিহ্নস্বরূপ৷ এই আচার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে, মূল ভাবনার ভিত্তি হল মেয়েকে তার মাতা-পিতার সম্পত্তি দেওয়া যা সে তার নিজের বলে খরচ করতে পারে৷

এই রেওয়াজ সারা ভারত জুড়ে চলছে৷ ভারতের সোনার বাজার: মূল্যায়ন এবং উদ্ভাবন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, “ভারতে প্রায় 40%–50% সোনার গহনা, বার এবং কয়েন বিবাহ উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়৷ 8million10millionবিয়ের সংখ্যার কোন সরকারী পরিসংখ্যান না থাকলেও, এটি প্রায় প্রতি বছর 8 মিলিয়ন থেকে 10মিলিয়ন হয়৷ এটি সেই তরুণ জনসংখ্যার সাথে সম্ভবত বাড়ছে যাদের এখনও ঐতিহ্যগত মূল্য আছে৷

কেবলমাত্র পাত্রীই তার বিশেষ দিনে সোনা সাজেনা, রিপোর্ট অনুযায়ী “অতিরিক্তভাবে, তুলনামূলক কম হলেও, বিয়ে-সম্পর্কিত সোনার গহনার চাহিদাও থাকে, এক্ষেত্রে পাত্র ও পাত্রীপক্ষের প্রত্যক্ষ সদস্যদের উপহার দেওয়ার গহনা থাকে, সাথে বিয়েতে আসা অতিথিদের নিজেদের গহনা যা তারা বিয়েতে পরে আসে৷”

বিয়ের দিনগুলি শুভ দিন আর যখন মুল্লা মোত্তু মালা (লম্বা সোনার চেন, যার মধ্যে লম্বা জুঁই ফুলের কুঁড়ি বা পাপড়ি থাকে), সোনার কয়েনের কানের দুলের সাথে অনুসঙ্গ লক্ষ্মী মালা, পালাক্কাল নেকলেস (পান্না ও চুনির সংমিশ্রণ), নাগাপাড়া থালি, মাঙ্গা মালা, কাসু মালা, পুথালি মালা, কারিমানি মালি ইত্যাদি হরেক রকমের গহনার থেকে কেরালার প্রায় সমস্ত কনেদের পছন্দ করতে বলা হয়... তখন কি সত্যিই তাদের দোষ দেওয়া যায়?