Published: 03 অক্টো 2018

সোনার প্রাসঙ্গিকতা বৃ্দ্ধির কারণসমূহ

Buying gold for several reasons includes, as a gold jewellery, investment option and much more

চূড়ান্ত অর্থনৈতিক, নান্দনিক, সাংস্কৃতিক এমনকি ধর্মীয় মূল্য সমেত ভারতে সোনার একটি অদ্বিতীয় স্থিতি আছে। তবে কিভাবে সারা বছর ধরে চাহিদা ও দামের দিক থেকে সোনা হৃদয়াঙ্গম হবে সে বিষয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং নীতি পরিবর্তন প্রভাবিত করে। চলুন এই কারণগুলি এবং কিভাবে এগুলি আপনাকে প্রভাবিত করে সেটি একবার দেখে নিই।

  1. বাজারগুলির একত্রীকরণ

    গত কয়েক দশক ধরে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দ্রুত বৃদ্ধিত পেযেছে, যার ফলে বিভিন্ন ধরণের বিনিয়োগকারী তাদের বিনিয়োগে সোনা অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে।

    গড়ে 840টন নিয়ে, ভারতবর্ষের গত দশকে টাকার মূল্য 400% বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সোনার চাহিদা 25% বৃদ্ধি পেয়েছে ।

    ইদানিং বছরগুলিতে সোনার আমদানি খুবই বেড়ে গিয়েছিল। 2017 সালে ভারতে 562.7 টন সোনার আমদানি হয় যেটি 2016 সালের তুলনায় 12% বেশি।

    অনুসঙ্গী: ভারতে সোনা কোথা থেকে আসে?

    ভারতীয়রা সোনাকে একটি নিরাপদ আশ্রয় এবং সহজলভ্য বিনিমায় মাধ্যম হিসাবে দেখে। আর বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের মুদ্রার উদ্ঘাটন বৈচিত্রময় করার জন্য এটি অন্যতম একটি প্রাথমিক উপায়।

  2. সোনা-সাহায্যপ্রাপ্ত ETFs

    সোনার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড পণ্যগুলির আবির্ভাব অতিরিক্ত একটি সুবিধা যোগ করেছে।

    বিনিয়োগকারীরা তাদের সাধারণ ডিম্যাট অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বৈদ্যুতিন রূপে সোনা কিনতে পারে।

    এটি মোট খরচ কমায় এবং মালিকানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে কোন উৎপাদন মূল্য বা পারিতোষিক মূল্য থাকে না, বিশেষ সিন্দুক বা ব্যাঙ্ক লকারেরও প্রয়োজন পরে না।

    ETFগুলি নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে আর একইভাবে সহজলভ্যও। অনলাইন মঞ্চগুলি পর্যবেক্ষণের মূল্য নির্ধারণ করে এবং লক্ষ্যগুলি আরও সহজ করে। আপনি খুব দ্রুত একটি বোতাম টিপে লেনদেন করতে পারবেন।

    অনুসঙ্গী: গোল্ড ETFগুলিতে বিনিয়োগে নবাগতদের জন্য নির্দেশিকা
  3. 2008-2009 সালের অর্থনৈতিক সঙ্কট

    ঝুঁকির প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং বিনিয়োগকারীদের দ্বারা ঝুঁকির পরিচালনার ক্ষেত্রে সোনা উপকার করে চলেছে 2009 সালের মন্দার সময়ের পর থেকে- পূর্বের কারণে নতুন বাজারগুলি উঠে আসে এবং পুরনো বাজারগুলো কার্যকরী সম্পত্তির বন্টনের ক্ষেত্রে আরও ভালো দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে পুনরায় ছড়িয়ে পরে। বিপর্যয়ের পরে, যখন অন্যান্য সম্পদগুলি মন্থরভাবে উদ্ধার পাচ্ছিল, সোনা সেক্ষেত্রে বছরের শেষে 24% বৃদ্ধি পায়।

    অর্থনৈতিক বিস্তৃতি এবং হ্রাসপ্রাপ্তির সময় সোনা একটি কার্যকর বৈচিত্রকারী বস্তু হিসাবে আচরণ করে। সোনা মুদ্রাস্ফীতির সময় একটি প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে এবং অন্যান্য সম্পত্তির সাথে সোনার পারষ্পরিক সম্পর্কের কারণে সোনার বন্টন বৈচিত্রতার একটি আদর্শ উপায়। ইতিবাচক রিটার্ন প্রদান করে এবং পোর্টফোলিওতে ক্ষতি কম করে, সোনা পদ্ধতিমূলক সংকটের সময় বিশেষভাবে কার্যকর থাকে।

    কেবলমাত্র আর্থিক অস্থিতিশীল অবস্থাতেই নয়, সোনার বন্টন মুদ্রাস্ফীতি দমনেও সাহায্য করে। যে সময় মু্দ্রাস্ফীতির স্তর 3% ছাড়িয়েছিল, তখন সোনা গড়ে 14% রিটার্ন উৎপাদন করেছিল।

    অনুসঙ্গী: কিভাবে আর্থিক সঙ্কটে সোনা আপনার বন্ধু হয়ে উঠতে পারে?

    বিশ্ব জুড়ে সোনা কেনার বিভিন্ন উদ্দেশ্য আছে –যেমন মূল্যবান গহনা, অতি মাত্রায় দামি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের একটি উপকরণ, বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, পোর্টফোলিওর বৈচিত্রতা আনয়নকারী ইত্যাদি। এই নমনীয় ধাতুটি বিভিন্ন উপাদান এবং প্রয়োজনে সহজেই মানিয়ে যায়। এটির ঔজ্জ্বল্যের মতই, আধুনিক অর্থনীতিতে সোনার প্রাসঙ্গিকতা ক্রমাগত বৃদ্ধিই পাবে।