Published: 04 সেপ্টে 2017

নোটবন্দি ও সোনা

2016 সালে ভারতের সামনে আসে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে, সোনার দাম বৃদ্ধির বাজার একটি অন্যতম বড় আঘাত ছিল। 2016 সালের বাজেটে একদিকে যখন গহনার ওপর আবগারি শুল্ক বসানো হয় এবং তার ফলে প্রথম তিনমাসে ব্যবসা অস্থির হয়ে পরে, ঠিক তার পাশাপাশি নতুন নীতি হিসাবে যে নোটবন্দি আসতে চলেছে তা কেউ ভাবতেও পারেনি।

নরেন্দ্র মোদী সরকার ভারতীয় 500 ও 1000 টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নেতৃত্ব স্থানীয় প্রকাশনার মত অনুযায়ী এর পিছনে কারণ হল “দুর্নীতি কমানো এবং অবৈধ কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদতকারী সমস্ত বেআইনি ও জাল নোটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া”।

প্রধান মন্ত্রীর এই নোটবন্দির ঘোষণার পরেই মূল্যবান ধাতু হিসাবে সোনা কেনার দৌড় শুরু হয়ে যায়। দেশের সমস্ত জায়গা থেকে ব্যক্তিরা তাদের সোনা কিনে পুরনো নোট বিনিয়োগ শুরু করে, বিক্রির ক্ষেত্রে এই অন্তঃপ্রবাহও বিক্রেতা উপভোগ করে এবং প্রতিযোগীতামূলক দামের প্রস্তাব দেয়। এটি হঠাৎ করে সোনার দাম 3 বছরে সবথেকে বেশি করে দেয়।

যদিও, আগামি কিছু সপ্তাহের মধ্যেই এটি দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যায়। ডিলাররা সোনা বিক্রয়ের নিমজ্জনে রেকর্ড করে। কালো টাকায় সরকারে কঠিন পদক্ষেপ নিতে গিয়ে, সোনার হোল্ডিংস এবং সোনা ক্রয়ে সরকারের আটকে যাওয়ার ভয় ছিল। বিশ্ব সোনা কাউন্সিল অনুযায়ী, এটি ক্রেতাদের নতুন সোনা কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছিল। তাদের ভারতীয় সোনার বাজার-মূল্যায়ন এবং উদ্ভাবন-এ, বিশ্ব সোনা কাউন্সিল বলেছে যে পুরনো টাকা পরিবর্তনের জন্য জুয়েলাররা ব্যাকডেটিংয়ে (আগের তারিখ দেওয়া) বা জাল গহনা বিক্রিতে ধরা পরায় আসল সোনা ক্রেতারা বিবাহের জন্য সোনার কিনতে অনাগ্রহী হয়ে পরেছিল।

2016 সাল শেষ হওয়ার দিকে, বিয়ের মরসুমে ব্যবসাগুলি চিন্তিত হতে শুরু করে, যা সাধারণত সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে বিশাল অন্তঃপ্রবাহ দেখে থাকে, তা স্বাভাবিকের মত বেশি জনগণকে আকর্ষিত করতে পারেনি।

ছয় মাস পরে, আবার সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে স্থিরতা আসে। যখন সরকার বাজারে স্বচ্ছতার জন্য ভবিষ্যতে নীতি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আশা করছে, সেখানে সোনা এখন এবং ভবিষ্যতে আমাদের দেশে অসংখ্য অনুষ্ঠানে পছন্দের ধাতু হিসাবে থেকে যাবে।

ভারতের সোনা প্রীতি এতো সহজে দূরে সরে যাওয়ার নয়।