Published: 22 অক্টো 2018

উত্তরাখণ্ডে প্রচলিত সোনা

বিশাল তেহরি নথ, পোক্ত পাহুনচি হোক বা আকর্ষণীয় চন্দ্রহার; উত্তরাখণ্ডের সোনার গহনাগুলি বেশ সপ্রতিভ। পাহারী মহিলার পোশাকের প্রধান প্রতিভূ হয়ে ওঠা ছাড়াও, এগুলি রাজ্যটির গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও প্রতিকায়িত করে।

এখানে উত্তরাখন্ডের কিছুর প্রথাগত সোনার গহনার ডিজাইন তুলে ধরা হল:

  • বুলাক

    একটি নাকের অলংকরণ হিসাবে, বুলাক সোনা দিয়ে তৈরি হয় এবং এটির মধ্যে থাকা নিখুঁত নকশার জন্য পরিচিত। প্রথাগতভাবে কুমায়ুন, জানসর এবং গারোয়ালের নব বিবাহিত মহিলারা এটি পরে। এটি কনের পরিবারের তরফ থেকে উপহার দেওয়া অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ গহনা হিসাবে পরিগণিত হয়।

    কৃতজ্ঞতাস্বীকার:বাট্টুলাল জুয়েল্স

  • কুন্দল এবং বালি

    স্থানীয়ভাবে মোনাদ, মুরখলি,মুন্ডা, অর্তুগাল ইত্যাদি একাধিক নামে পরিচিত কুন্দলগুলি হল আসলে সোনার কানের দুল যেগুলি উত্তরাখণ্ডের পাহারি মহিলারা পরে থাকে। কুন্দলের সবথেকে জনপ্রিয় রূপটি হল বালি –এটি সোনায় তৈরি বিশাল বৃত্তাকার কানের দুল।

    কৃতজ্ঞতাস্বীকার: জাভেরি বাজার জুয়েলার্স

  • তেহরি নথ

    নথুলি হিসাবেও পরিচিত, তেহরি নথ সোনা দিয়ে তৈরি হয় এবং এটি চন্দ্রাকৃতির একটি বিশাল নাকছাবি যেটি শহুরে এবং গ্রামীণ উভয় গারোয়ালী মহিলারাই পরে থাকে। এটি তৈরির জন্য অসাধারণ শৈল্পিক দক্ষতার প্রয়োজন, তেহরিতে দারুণ কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের উদাহরণ পাওয়া যায়। এটি অন্যতম একটি বিয়ের গহনা এবং বিয়ের কনেকে তার মামা নথুলি উপহার দেয়।

  • কানফুল

    ‘কান’ শব্দের অর্থ হল কর্ণ এবং ‘ফুল’ হল পুষ্প। সোনায় তৈরি কানফুলগুলি ফুলের নকশা করা কানের দুল। এগুলি জুনসারি মহিলাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

  • পাহুনচি

    বিবাহিত মহিলাদের জন্য একটি পবিত্র গহনা হিসাবে বিবেচিত পাহুনচি আসলে সোনার বালা যেগুলি মহিলারা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরে। এই বালাগুলির প্রস্তুতির পদ্ধতিই এগুলিকে অনন্য করে তুলেছে। সাধারণত 1তোলায় এগুলি উপলব্ধ হয়, এই বালাগুলি তৈরির জন্য কাপড়ের মধ্যে ছোট ছোট পুঁতি বুনন করা হয়।

    কৃতজ্ঞতাস্বীকার: বাট্টুলাল প্রয়াগ নারাণয় জুয়েলার্স

  • হাঁসুলি

    গারোয়ালে জনপ্রিয়ভাবে খাগওয়ালি নামে পরিচিত, হাঁসুলি নূন্যতম ডিজাইন সম্পন্ন একটি আঁটকানো নেকলেস। এটি গারোয়াল, কুমায়ুন, জোনসারি এবং ভুটানী মহিলারা বিবাহ এবং উৎসবের মত বিশেষ অনুষ্ঠানে পরে থাকে।

    কৃতজ্ঞতাস্বীকার: এশিয়া স্টোর

  • চন্দনহার

    উত্তরাখণ্ডের একটি প্রথাগত সোনার নেকলেক, চন্দনহারে চার-থেকে-পাঁচটা লম্বা চেনের সোনার পুঁতি বসানো থাকে। এই চেনগুলি একটি কুন্দনের আঁকড়া দিয়ে আঁটকানো থাকে।

  • গালোবন্দ

    কণ্ঠহারের মত গলা জুড়ে থাকা একটি সোনার বন্ধন, এটি কুমায়ুন, গারোয়াল, ভোটিয়া এবং জুনসারের বিবাহিত মহিলারা পরে থাকে। এটিতে সোনার বর্গাকার ব্লকগুলি সুতোর সাহায্যে সাজানো থাকে পরপর কাপড়ের ওপর সাজানো থাকে।

এই প্রথাগত গহনার ডিজাইনগুলি উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে আজও অতিমাত্রায় জনপ্রিয়।